শেখর ধাওয়ান এবং বাঙালি স্ত্রী আয়েশার বিবাহ বিচ্ছেদ গোটা দেশজুড়ে আলোড়ন

0

নির্ভীক কণ্ঠ ওয়েব ডেস্ক ::: বিবাহবিচ্ছেদ হল শিখর ধবনের। তাঁর স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায় ইনস্টাগ্রামে ঘোষণা করেন বিবাহ বিচ্ছেদের কথা। ন’বছর একসঙ্গে থাকার পর বিচ্ছেদের কথা জানালেন এই দম্পতি। আয়েশার বাবা ভারতীয় ও মা ব্রিটিশ। আয়েশা অ্যাংলো ভারতীয়। আয়েশা জন্মের পরেই মেলবোর্নে চলে আসেন| সেই ২০০৯ সালে দুজনের পরিচয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে। আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের ফেসবুকে ছবি দেখে পছন্দ হয়েছিল শিখর ধাওয়ানের। পরে জানা যায় হরভজন সিং দুজনের মিউচুয়াল ফ্রেন্ড। কিন্তু ওই সময় জাতীয় দলে জায়গা পাকা হয়নি দিল্লির ওপেনারের। তাই বিয়ে পিছিয়ে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত চার হাত এক হয় ২০১২ সালে। ২০০৯ সালে শিখর ও আয়েশার বাগদান হয়েছিল। এরপর ২০১২ সালে ২ জনের বিয়ে হয়। এরপর ২০১৪ সালে তারকা দম্পতির একটি পুত্র সন্তান হয়। যার নাম জোরাভর ধাওয়ান।এর আগে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ধবন বলেছিলেন যে আয়েশাকে বিয়ের পর কীভাবে তাঁর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছিল। ঠিক দুই বছর পর পুত্রসন্তান জোরাওয়ারের জন্ম হয়। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে গোলমাল শোনা যায়নি কখনই।  তাঁদের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে।শিখরের সঙ্গে দেশে এবং বিদেশে বহু সফরে গিয়েছিলেন আয়েশা। সুখী কাপেল বলেই জানতেন সকলে। কিন্তু দুঃসংবাদটা এভাবে আসবে বোঝা যায়নি। মঙ্গলবার আয়েশা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে বড় একটা পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলতে চেয়েছেন দুবার বিবাহ বিচ্ছেদ সহ্য করা সহজ ব্যাপার নয়। অতীতে যখন এক অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীকে বিয়ে করার পর বিচ্ছেদ হয়েছিল নিজেকে অপরাধী মনে হয়েছিল তাঁর। আয়েশা তাঁর প্রথম স্বামীকেও ডিভোর্স দিয়েছিলেন। প্রথম পক্ষে তাঁর দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। আয়েশার বাবা ভারতীয় ও মা ব্রিটিশ। আয়েশা অ্যাংলো ভারতীয়। আয়েশা জন্মের পরেই মেলবোর্নে চলে আসেন| আয়েশা ১৯৭৫ সালের ২৭ অগাস্ট জন্মান। এখন তাঁর ৪৬ বছর বয়স।

আবেগঘন পোস্টে আয়েশা লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়েছিল বিচ্ছেদ একটা খুব খারাপ শব্দ। আমার দ্বিতীয় বার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর আর তা মনে হয় না। প্রথম বার বিয়ে ভাঙার সময় আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল আমি বোধ হয় কিছু ভুল করে ফেলেছি। নিজেকে স্বার্থপর মনে হয়েছিল। মনে হয়েছিল বাবা-মায়ের সম্মান নষ্ট করছি। বিচ্ছেদ এতটাই খারাপ শব্দ বলে মনে হত তখন।’তিনি আরও লেখেন, ‘দ্বিতীয় বার এই ভয় আরও বেড়ে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল, দ্বিতীয়বারও আমি পারলাম না। বিয়ে, সম্পর্ক আমার কাছে এসবের মানে কী?’ বিচ্ছেদ নিয়ে এখনও কিছু জানাননি ভারতীয় দলের ওপেনার।

যদিও আয়েশা এবং শিখর এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেননি কিংবা বিবৃতি দেননি। ইতিপূর্বে শোনা গিয়েছিল আয়েশা এবং শিখর একে অপরকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করেছিলেন। শুধু তাই নয়, আয়েশা তাঁর ফিড থেকে শিখরের সব ছবিও মুছে দিয়েছিলেন। অ্যাকাউন্টে তিনি ধাওয়ানকে রাখেননি৷ এই অ্যাকাউন্টে তিনি নিজের দুই মেয়ে ও ছেলের সঙ্গে বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন৷ কিন্তু ধাওয়ানের সঙ্গে কোনও ছবিই রাখেননি৷ ফ্যানদের কিছুই ভালো লাগছে না৷ এরই সঙ্গে Aesha Mukerji ইনস্টাগ্রামে যে বায়ো লিখেছেন তাতে নিজের স্বাতন্ত্র্য ও স্বাধীন সত্ত্বার কথা উল্লেখ করেছেন৷ পাশাপাশি মহিলাদের সাহায্য করার কথাও তিনি লিখেছেন৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here