নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্ষমতার দ্বন্দ্বে এমন অন্ধ হয়ে যেতে পারেন খোদ পুরোহিতও।
কর্ণাটকের কোলেগাল জেলার সুলওয়াড়ি গ্রামে প্রসাদ খেয়ে ১৫ জনের মৃত্যুর তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এল। কর্ণাটকের কোলেগাল জেলা পুলিস জানিয়েছে মন্দিরের প্রধান কর্তাকে সরিয়ে সম্পদের কতৃত্ব হাতে পাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন এক পুরোহিত। তাঁর যুক্তিতেই কিছুগুথ মারাম্মা মন্দিরের প্রসাদে বিষ মেশানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর ওই মন্দিরের প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ১০০ জন ভক্ত। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ১৫ জনের। জেরায় পুলিসকে বিপথে চালিত করার চেষ্টাও করেন ওই পুরোহিত।
ঘটনার তদন্ত নেমে বহু সূত্র ধরে এগনোর চেষ্টা করে পুলিস। এর মধ্যে একজন ছিলেন অভিযুক্ত পুরোহিত ইমাদি মহাদেব স্বামীর প্রেমিকা অম্বিকা। বিশ্বস্থ সূত্রে পুলিসের কাছে খবর আসে ঘটনার ৮ দিন আগে অম্বিকার বাড়িতে আসেন এলাকার এক কৃষি আধিকারিক। পুলিসের জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন তিনি ৫০০ মিলিলিটারের ২টি কীটনাশকের বোতল অম্বিকাকে দেন। তবে অম্বিকা পুলিসকে জানিয়েছেন তিনি ওই কীয়নাশক তাঁর বাগানের জন্য কিনেছিলেন।
ঘটনার দিন বিষক্রিয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওই কৃষি আধিকরিক বারবার ফোন করে অম্বিকাকে জেরা করেন। এতেই অম্বিকা বলেন, তিনি প্রসাদে বিষ মিশিয়েছেন পুরোহিত ইমাদির কথা শুনেই। একই গ্রাম বাড়ি ইমাদি ও অম্বিকার। তাদের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এমনটাই জানিয়েছেন আইজি কে ভি শরত্চন্দ্র।
তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক সীমানার ওই মন্দিরে প্রণামী থেকে আয় হয় বছরে ১২ লাখ টাকা। সম্প্রতি ওই মন্দিরের পরিচালনার ভার এসেছে এলাকাবাসীর ওপরে। তখন থেকেই শুরু হয় মন্দিরের আয় হাতানোর লড়াই। মন্দিরের কোষাধক্ষ্য চিনাপ্পিকে সরিয়ে দেওযার ষড়যন্ত্র করে ইমাদি। হাল আমলে চিন্নাপ্পি মন্দিরের টাকা খরচ করার একটি প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন। তার পর থেকেই দুজনের মধ্যে প্রবল দ্বন্দ্ব বেধে যায়। তার ফল ভোগ করতে হল ওই ১৫ ভক্তকে।