তনময় মন্ডল ::: হালিশহর থানা এলাকায় পরপর দু’দিন দুটি মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মনসাতলা এক ব্যক্তির পচা-গলা দেহ উদ্ধারের পর আজ বলদেঘাটার একটি ফ্ল্যাট থেকে এক গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয়। মনসাতলা ঘটনায় তদন্ত নেবে হালিশহর থানার পুলিশ 3 জনকে গ্রেপ্তার করেছে । পরিবারের পক্ষ থেকে কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়েছে।
বলদেঘাটার মৃত গৃহবধূর মা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। হালিশহর মনসা তলা বাড়ি থেকে পচা গলা দেহ উদ্ধার করলো হালিশহর থানার পুলিশ। মৃত ব্যক্তির নাম অরুণ মন্ডল (47) হালিশহর বলদেঘাটা বাসিন্দা পরিবারে একাই থাকতো অরুণ হালদার মা মারা যাওয়ার পর দাবি পরিবারের লোকজনের। কিভাবে মারা গেল কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেনা পরিবারের লোকজন। এই ঘটনায় বাড়ির মালিক সুরজিৎ অধিকারী (বুড়ো) ও তার জামাইকে আটক করে হালিশহর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়না তদন্তের জন্য। ঘটনা তদন্তে নেমেছে হালিশহর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে 24 ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার তিন অভিযুক্ত সায়ন চক্রবর্তী সুরজিৎ অধিকারী তারক দাস অভিযুক্তদের আজ ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। অপরদিকে হালিশহরে বলদেঘাটায় ফ্লাট থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হালিশহর থানার পুলিশ। মৃত মহিলা সোমা কুরু | স্বামী সুন্দর কুরু রেলওয়ে কর্মী কাজের সূত্রে মধ্যপ্রদেশে রয়েছে। এই ঘটনায় রাজিব ভট্টাচার্য্য নামে যুবক আটক করে হালিশহর থানার পুলিশ।এদিকে সোমার মা অভিযোগ করেন সাংবাদিকদের কাছে যে রাজিব ভট্টাচার্যের নামে এক যুবকের সঙ্গে তার মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সে বাড়িতে যাতায়াত করতো। তিনি বলেন আমার দৃঢ় বিশ্বাস রাজিবই আমার মেয়েকে খুন করেছে । মেয়ে আমার আত্মহত্যা করতে পারে না কারণ তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ।