সাং বন্ধ রাখার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগরে পথ অবরোধ, অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই মৃত্যু 7 বছরের বালকের

0

কৃষ্ণনগরে বহু প্রাচীন ঐতিহ্যের সাংয়ের দাবিতে পথ অবরোধ চলে দীর্ঘ এক ঘন্টা যাবত। কোতোয়ালি থানার ঢিলছোড়া দূরত্বে পৌরসভার মোড়ে, আসন্ন জগদ্ধাত্রী পুজোয় সাং বন্ধ রাখার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিভিন্ন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি এবং বারোয়ারির সদস্যরা। মাত্র দু’দিন আগেই জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বারোয়ারি গুলির সাথে এক আলোচনা সভায় শোভাযাত্রা বিহীন পুজোর বিরুদ্ধে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেছিলেন। কার্যত তাদের কথা মান্যতা না দিয়েই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মত বিক্ষুব্ধ বারোয়ারি সদস্যদের । ওই মিটিংয়ের পর ক্ষোভের আগুন ক্রমশ ছড়াতে থাকে, যা আজ দাবানল হয়ে কৃষ্ণনগরের প্রধান রাস্তা রুদ্ধ হয়ে যায়। পৌরসভার মোড়ে প্রায় প্রত্যেক বারোয়ারির পক্ষ থেকে আগত সদস্যদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে জনরোষে পরিণত হয়। কোতোয়ালি থানার পুলিশ দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় বিপুল পরিমাণে অবরোধকারীদের বোঝাতে বা হটাতে পারেনি এখনো, একদিকে বাড়ছে পুলিশ মোতায়েনের সংখ্যা অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বাড়ছে তার দ্বিগুণ, কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নিয়েছে কৃষ্ণনগর। তাদের দাবি শান্তিপুরে কালী পূজার বিসর্জন, উপনির্বাচন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় বহুবার উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি তাতেও প্রশাসন নির্বিকার। আর কৃষ্ণনগরের প্রতি দ্বিচারিতা করছে জেলা পুলিশ, এমনকি সাং বন্ধের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশের কথা বলা হলেও তা এখনও দৃষ্টিগোচর হয়নি তাদের। প্রাচীন ঐতিহ্য সংস্কারের দাবিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন স্থানীয়রা। সে জন্য দীর্ঘ চার ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়েছিল মালদহ থেকে কলকাতায় চিকিত্‍সা করাতে নিয়ে যাওয়া সাত বছরের এক বাচ্চাকে। অভিযোগ, অবরুদ্ধ হওয়ার জেরেই অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বাচ্চাটির।বুধবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত বালকটির নাম সাকিবুল শেখ (৭)। তার বাড়ি মালদহের মোথাবাড়ি থানার অনন্তপুর গ্রামে। স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। মঙ্গলবার বিকালে বাড়ির ছাদে খেলা করছিল সাকিবুল। তখনই ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে তার মাথায় আঘাত লাগে। সে সময় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে বলেন চিকিত্‍সকরা। কলকাতার উদ্দেশে বেরিয়ে কৃষ্ণনগরের কাছে আটকে পড়ে তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্স। অভিযোগ, বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও অবরোধকারীরা যেতে দেননি তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here