শ্যামাপ্রসাদের জন্মভিটায় লকেট চ্যাটার্জি, শুভেন্দু অধিকারী : বিস্ফোরক ষড়যন্ত্র করে মেরে ফেলা হয়েছিল তাঁকে, নজরুলকে বিপদে সাহায্য শ্যামাপ্রসাদের

0

নির্ভীক কণ্ঠ ওয়েব ডেস্ক ::: আজ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর জন্মদিনে তার জন্ম ভিটা হুগলি জেলার বলাগড় থানার অন্তর্গত জিরাটে গিয়েছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি। তিনি এদিন পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। বাড়িতে থাকা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিভিন্ন মনীষীদের ছবি ঘুরে দেখেন। শ্যামাপ্রসাদের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে এখানে শ্যামাপ্রসাদের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন লকেট চ্যাটার্জি । প্রয়াত শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মৃত্যুবার্ষিকীতে তার আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই তিনি বলেন, ‘তিনি রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন, ষড়যন্ত্র করে মেরে ফেলা হয়েছিল। বর্তমান প্রজন্ম তার যে অবদান সেই সম্পর্কে যাতে আরো ভালো করে জানতে পারে তার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি তারই ব্যবস্থা করছে। এমন ব্যক্তিত্বরা না থাকলে আমাদের হয়তো ভারতবাসী হিসেবে বাঁচতে পারতাম না। কোনও ইসলামিক রাষ্ট্রের মানুষ হিসেবে বাঁচতে হত। এরকম সন্তান না থাকলে আমাদের পাকিস্তান অথবা বাংলাদেশের হয়ে বাঁচতে হত।’ ভারত কেশরী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ৬৮তম আত্ম বলিদান দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করল ভারতীয় মজদুর সংঘ।রানাঘাট চিলড্রেন’স পার্কে এই মহতি স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির আয়োজিত হয়।এদিনের এই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বি এম এস এর রাজ্য সম্পাদক উজ্জ্বল মুখার্জি নদীয়া জেলা সম্পাদক নিখিল চন্দ্র পাল বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় সহ ভারতীয় মজদুর সংঘের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগন। স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরে রক্ত দান করেন 30জন রক্তদাতা।  ফরাক্কাতে পালিত হল ভারতকেশরী ডাঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর আত্মবলিদান দিবস । বুধবার ফরাক্কার বিজেপি জেলা কার্যালয়ে দিনটিকে স্মরণ করা হয়।ভারতকেশরীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুস্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন বিজেপি তরফ থেকে। উপস্থিত ছিলেন বীরেদ্রনাথ দাস সাধারণ সম্পাদক, বিজেপি নেতা দ্বিপ্রজিৎ ভকট, অরূপ সাহা, বাবলু ঘোষ সহ একাধিক কর্মীরা।

ডঃ শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশংসা ও সমালোচনা দুই-ই হয়ে এসেছে চিরকাল। এখনও শ্যামাপ্রসাদকে সুভাসচন্দ্র বোসের বিরোধী বলে দাবি করেন অনেক। আবার কখনও সাম্প্রদায়িকতার দায় চাপানোর চেষ্টা হয় তাঁর উপর। কিন্তু নিজের লেখা চিঠিতে কবি কাজী নজরুল ইসলাম ডঃ মুখোপাধ্যায়কে ক্লিনচিট দিয়ে গেছেন এই দুই অপবাদ থেকেই। সালটা ১৯৪২, তখনও দেশ স্বাধীন হয়নি। অসুস্থ শরীরে কাজী নজরুল ইসলাম পর পর অনেকগুলি চিঠি লিখেছেন কিষান প্রজা পার্টির নেতা ও বঙ্গের তত্‍কালীন মুখ্যমন্ত্রী ফজলুল হককে। সে সব চিঠিতে থাকত কাতর আবেদন, তিনি অসুস্থ, ভুগছেন অর্থকষ্টেও! চিঠিগুলির উত্তর এসেছিল শেষ পর্যন্ত, সাহায্যও মিলেছিল। কিন্তু তা তত্‍কালীন বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নয়। নজরুলের সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। মধুপুরে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অসুস্থ নজরুলের চিকিত্‍সা করিয়েছিলেন ডঃ মুখার্জি। সেখানেই প্রায় ছ’মাস স্বস্ত্রীক ছিলেন নজরুল। এই মধুপুরে থাকা অবস্থায় ১৯৪২ এর ১৭ জুলাই ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লেখেন কবি নজরুল। চিঠিতে তিনি লেখেন, শ্রীচরণেষু, এই কোয়ালিশন মিনিষ্ট্রি-র একমাত্র আপনাকে (শ্যামাপ্রসাদ) আমি অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করি ও ভালবাসি। আর কাউকে নয়। আমি জানি আমরাই এই ভারতবর্ষকে পূর্ণ স্বাধীন করব। সেদিন বাঙালির আপনাকে (শ্যামাপ্রসাদকে) ও সুভাষবাবুকেই সকলের আগে মনে পড়বে। আপনারাই হবেন এদেশের পতাকার নায়ক। এখানেই শেষ নয় এরপরও অবশ্য বহুবার শ্যামাপ্রসাদের প্রকাশ্য প্রশংসা করেছেন কবি নজরুল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here