14 বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিশোরী অনিকা করোনাকে কব্জা করার উপায় আবিষ্কার করে সেরা পুরষ্কার জিতলেন বিস্মিত জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা

0

নির্ভীক কণ্ঠ নিউজগ্রুপ স্বাস্থ্য কথা সমাচার :::::: করোনা চিকিত্‍সায় নতুন আবিষ্কার, করোনাকে কব্জা করার উপায় আবিষ্কার করে পুরস্কৃত ভারতীয় কিশোরী, পথ দেখাবে ওষুধ তৈরিতে, পুরস্কৃত ১৪ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিশোরী| কম্পিউটার প্রযুক্তিতে এমন উপাদানের খোঁজ দিয়ে অবাক করে দিয়েছে এই মেয়ে। চোদ্দ বছরের অনিকা চেবরোলু। টেক্সাসের বাসিন্দা। নিজের এই আবিষ্কারের জন্য ২০২০ সালের থ্রি এম ইয়ং সায়েন্টিস্ট চ্যালেঞ্জ  বিভাগে সেরা পুরস্কার জিতেছেন আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা অঙ্কিতা। যার পুরস্কার মূল্য ২৫ হাজার ডলার। ইন-সিলিকো মেথডোলজিতে সার্স-কভ-২ ভাইরাল প্রোটিনকে নষ্ট করার উপাদানের খোঁজ পেয়েছে অনিকা। যা SARS-COV-2 ভাইরাসের সাহায্যকারী স্পাইক প্রোটিনকে অকেজো করে দিতে পারে। অঙ্কিতা যখন অষ্টম গ্রেডের ছাত্রী ছিল, তখনই সে প্রথম এই প্রোজেক্ট জমা দিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস নিয়ে কাজ করাই তার লক্ষ্য ছিল। পরে গোটা বিশ্ব করোনা অতিমারির কবলে পড়ার পর করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিত্‍সার পথ খুঁজে বের করার উপরে জোর দেয় অনিকা।নিজের গবেষণার মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে চমকে দেওয়া অঙ্কিতার অনুুপ্রেরণা তার দাদু। পেশায় তিনি কেমিস্ট্রির একজন অধ্যাপক। নাতনিকে গবেষণায় বরাবর উত্‍সাহ জুগিয়েছেন তিনি। কয়েক কোটি উপাদানের মধ্যে প্রয়োজনীয় উপাদান স্ক্রিনিং করে বা ছেঁকে বের করে নেওয়া এক কথা অসম্ভব কাজ। সেটাই সহজে হয়ে যায় ইন-সিলিকো পদ্ধতিতে। একে কম্পিউটার-এডেড ড্রাগ ডিজাইন  মেথডও বলে। মাত্র ১৪ বছরের মেয়ে এই পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী উপাদান খুঁজে বের করেছে সেটাই গবেষকদের কাছে বিস্ময়। অনিকা যে উপাদানের খোঁজ দিয়েছে তা সার্স-কভ-২ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের (S) সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। এই স্পাইক প্রোটিনই মূলত দেহকোষের রিসেপটর প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোষে ঢুকে বিভাজিত হতে থাকে। কাজেই স্পাইক প্রোটিনের মুখ যদি বন্ধ করে দেওয়া যায়, তাহলে সেটি আর রিসেপটর প্রোটিনের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে কোষে ঢুকতে পারবে না। ভাইরাস প্রতিলিপি তৈরি করতেও পারবে না। ফলে সংক্রমণ সারা শরীরে ছড়াতে পারবে না। গবেষকরা বলছেন, এই উপাদানকে কাজে লাগিয়ে করোনার প্রতিষেধক তৈরি করা যেতে পারে।গবেষকরা বলছেন, এই উপাদান ভাইরাল ড্রাগ তৈরির কাজে আসতে পারে। ১৯৭০ সাল থেকেই ইন-সিলিকো প্রযুক্তির নানা উপায় আবিষ্কার হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here