নির্ভীক কণ্ঠ নিউজ গ্রুপ ::: ৭ আগস্ট জাতীয় হস্তচালিত তাঁত দিবসে রানাঘাট হবিবপুরের তাঁত শিল্পী সরস্বতী সরকার রাষ্ট্রপতি পুরস্কার হাতে না পেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হওয়ায় জেলাজুড়ে আনন্দ তাঁত শিল্পীদের মধ্যে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ক্রমাগত ভয়াবহ হওয়ায় অনুষ্ঠানটি স্থগিত রাখা হয়েছে কিছুদিনের জন্য। সরস্বতীদেবী জানান, সরকারকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে সম্মান জানানোর জন্য। আমার মাধ্যমে বাংলার প্রত্যেক তাঁত শ্রমিককে শিল্পীর মর্যাদা দিতে চলেছেন সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের বস্ত্রবয়ন দফতর অনুমোদিত এবছর জাতীয় পুরস্কার নদিয়ার রানাঘাটের রঞ্জিত সরকারের স্ত্রী সরস্বতী সরকার। ৩৫ বছর আগে বিবাহ সূত্রে রানাঘাট পানপাড়ায় এসেই অসুস্থ স্বামীর চিকিত্সার তাগিদে শিখে নিয়েছিলেন তাঁত বোনা। যে শাড়িটির জন্য তাঁকে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, সেটি সিল্কের ঢাকাই জামদানি। শাড়ির পাড়ে রয়েছে ময়ূর, গায়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পাখি এবং লতা। ঘরসংসার সামলে এই কাজ করতে ৭ মাস লেগেছে। তাঁর বাড়ি হবিবপুরের রাঘবপুরের উত্তরপাড়ায়। তাঁর এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলে প্রসেনজিত্ বিএ পাশ করে উত্তরপ্রদেশে সিআরপিএফে কর্মরত। মেয়ে রমা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেছেন। বীরেনবাবু একজন অসাধারণ শিল্পী। স্বামী-স্ত্রী কেউই পড়াশোনা না জানায় এক পুত্র ও কন্যাসন্তানের পড়াশোনার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করেছিলেন তিনি। প্রসিদ্ধ শিল্পী এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বীরেন বাবুর সান্নিধ্যে এসে হাতের কাজের শিল্প নৈপুণ্যে দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে সক্ষম হন। এরপর বীরেনবাবুর যোগাযোগে বিভাগীয় সরকারি দফতরে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পৌঁছন তিনি। লকডাউনের কিছুদিন আগে বাড়িতে দিল্লি থেকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাওয়ার ই-মেল এসেছে। ছবি প্রতীকী মাত্র