ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সানজানা নওরীন। প্রতিবছরই ছুটির সময় দেশের বাইরে বেড়াতে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
মিজ. নওরীন জানান, তিনি সাধারণত তার স্বামীর সাথে ঘুরে বেড়ান এবং ভ্রমণের ক্ষেত্রে দু’জনেই রোমাঞ্চকর জায়গা পছন্দ করেন।
তিনি বলেন, “রাজস্থান, গোয়াসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। এবারের ঈদের ছুটিতে যাচ্ছি আন্দামান। যদিও ইন্দোনেশিয়ার বালি যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু প্লেনের টিকিটের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঐ পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে।”
গত কয়েক বছরে সানজানা নওরীনের মত মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত নাগরিকদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বাড়ার সাথে সাথে দেশের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের প্রবণতাও বেড়েছে।
আর ঈদ, পূজা বা নববর্ষের মত উৎসবের মৌসুমে যখন কর্মস্থল থেকে কয়েকদিনের জন্য ছুটি মেলে, তখনই প্রিয়জন নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার চাহিদাটা থাকে সবচেয়ে বেশি।
যেরকম বলছিলেন বেসরকারি চাকরি করা সুমাইয়া হাসান, যিনি সাধারণত ছুটির সময় স্বামী-সন্তান নিয়ে ভ্রমণের সুযোগ হারান না।
“চাকরিজীবী হিসেবে যে কোনো সময় ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রধান চিন্তা থাকে স্বামী-সন্তানের ছুটির সাথে আমার ছুটি মিলবে কিনা। তাই উৎসব-পার্বণের ছুটির সময় সাধারণত ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করি না।”
তবে বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত ঐতিহাসিক নিদর্শন-সমৃদ্ধ জায়গায় যাওয়াকেই বেশি পছন্দ করেন বলে জানান মিজ. হাসান।