শ্যামল রায় নবদ্দীপ নদীয়া ::: নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের পীরপুর পাড়ার সুপ্রিয়া ঘোষ প্রসবের যন্ত্রণা নিয়ে ড: রাজীব বিশ্বাসের কাছে গেলে তিনি কৃষ্ণনগরের সুরক্ষা নাসিং হোমে ভর্তি করেন ও গত চলতি মাসের ১১ জুলাই সীজার করে ফুটফুটে পুএ সন্তানের জন্ম হয় । সীজার করার পর থেকেই সুপ্রিয়া ঘোষের অবস্থা খারাপ হতে থাকে দাবি স্বামী প্রসেনজিৎ ঘোষের ‘। তিনি আরো জানান ডাক্তার বাবু ও নার্সিংহোম কতৃপক্ষ টাকার লোভেই আমার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন । নার্সিংহোমে রেখে চিকিৎসা করতে থাকে ।
তিনি আরো দাবি করেন এরপর তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর চিকিৎসক এবং নার্সিং কর্তৃপক্ষ পরিবারের হাতে ছেড়ে । কোনো দায়িত্ব না নিয়েই দায়সারা ভাবে । তিনি আরো জানান সমস্ত খরচ তিনি মিটিয়ে দেন । এরপরে পরিবারের লোকেরা কলকাতার নীলরতন মেডিকেল হসপিটালে সুপ্রিয়া দেবী কে নিয়ে যান । সেখানে ভর্তি থাকার পর গতকাল তিনি মারা যান । পরিবারের দাবি তারা তাদের মৃতদেহ কে ময়না তদন্ত করার জন্য অনুরোধ জানান কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো কর্ণপাত না করে ডেট সার্টিফিকেট দিয়ে ছেড়ে দেয় ।
মৃতদেহ কৃষ্ণগঞ্জ পৌঁছাতেই শোকের ছায়া পড়ে যায় এলাকায় । প্রতিবেশীরা সেই মৃতদেহ কৃষ্ণগঞ্জ থানায় নিয়ে গিয়ে কৃষ্ণগঞ্জ এর আইসি কে ময়নাতদন্ত করার জন্য বারবার অনুরোধ জানাতে থাকেন । আইসি জানান যেহেতু চিকিৎসক ও নাসিং হোম কোতোযালি থানার মধ্যে থাকার জন্য তিনি কোন কিছু করতে পারবেন না ।যেহেতু নার্সিংহোম এবং ডাক্তার থাকেন কৃষ্ণনগরে । দীর্ঘ তিন ঘন্টা মৃতদেহ পড়ে থাকে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় ।
এরপর প্রতিবেশী এবং এলাকাবাসী সকলে মিলে কোতোয়ালি থানার দিকে রওনা দিলেন মৃতদেহ নিয়ে । এখন সকলের নজর কোতোয়ালি থানার দিকে ।কি হয় সেদিকেই তাকিয়ে আছে গোটা কৃষ্ণগঞ্জবাসি । পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসকের শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে । তাদের আরও দাবি ডঃ রাজীব বিশ্ব৷সেরএমন দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হউক যাতে আর অন্য কোন মায়ের অকালে প্রাণ না যায়। ছবি+-রুপম রায় ।